আমাদের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা একপ্রকার দাসপ্রথার মতোই। দাসদের জীবনের উদ্দেশ্য থাকে দাস মুক্ত হওয়া। কিন্তু দাস মুক্ত হওয়ার পর কি করবে সে নিজেও জানে না। এরপর দেখা যায় সে এমন ধরনের জীবনযাপন করলো যে, ঘুরলো-ফিরলো, যা ইচ্ছা খেলো, একসময় নিজেই বিরক্ত হয়ে গেলো। কারণ তার জীবনের তেমন কোনো উদ্দেশ্য নেই। একই অবস্থা আধুনিক সমাজের মানুষেরও।
পড়াশোনার কথাই যদি বলি, আমরা স্কুল-কলেজে গিয়ে পড়াশোনাটা করি স্রেফ করতে হবে বলে। পরীক্ষায় লিখে আসতে পারলেই হলো।এই জ্ঞানগুলো সাময়িক কাজে লাগাচ্ছি সুবিধার জন্য, এজন্যই এই জ্ঞানার্জনে এত বিরক্তি আমাদের। পড়াশোনাটা শেষ করে বোঝামুক্ত হতে পারলেই হলো, যেমন দাস মুক্ত হওয়া। It doesn't serve any bigger purpose in our life, তাই এ কাজ করতে আমাদের ভাল্লাগেওনা, তবুও দাসের মতো আমরা করে যাই। ফলশ্রুতিতে, ছোটকাল থেকেই নিজেদের স্বভাবের মধ্যেই তিক্ততা গড়ে উঠে, যে তিক্ততা পরবর্তীতে আমরা নিজেদের সন্তান, পরিবার, আশেপাশের মানুষ, কর্মক্ষেত্রে জুনিয়দের উপর প্রয়োগ করি।
মোটকথা হলো, জীবনের better কোনো উদ্দেশ্য না থাকায় এরকম র্যান্ডম বাকিরা করছে আমিও করছি মানসিকতা থেকেই নিজেদের জীবনকে বিষিয়ে তুলি আমরা।
Comments
No comments yet.