Geoffrey Hinton - The Godfather of AI

by anonymous | Published on November 4, 2024

জিওফ্রে হিন্টনকে চিনেন? এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী, যদিও তিনি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েই গবেষণার কারণে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

জিওফ্রে হিন্টন সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম Nobel Prize ঘোষণার পর এবং YouTube ভিডিও দেখার মাধ্যমে। Interviews শোনার এবং গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন articles পড়ার পর তাকে নিয়ে আমার একটি বেশ ভালো ধারণা তৈরি হয়েছে।

জিওফ্রে হিন্টন হলেন একজন Computer Scientist এবং Cognitive Psychologist, যিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং Neural Networks-এর গবেষণায় অনেক অবদান রেখেছেন। তাকে বলা হয় "Godfather of AI" কারণ তিনি এই ক্ষেত্রের অগ্রদূতদের একজন।

যখন Nobel Prize ঘোষণার কথা শুনলাম, তখন থেকেই তার সম্পর্কে curiosity জাগলো। YouTube-এ তার কিছু ইন্টারভিউ দেখলাম এবং শুনলাম। তার কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে তিনি কেবল একজন মেধাবী বিজ্ঞানী নন, বরং একজন ভালো মনের মানুষও। তার গবেষণা এবং উদ্ভাবনের পেছনে যে গভীর চিন্তাভাবনা এবং অধ্যবসায় রয়েছে, তা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে।

Google-এ সার্চ করে তার জীবনের বিভিন্ন দিক জানলাম। তার অনেক research papers পড়ার সুযোগও হলো। তিনি কিভাবে Neural Networks-এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতি করেছেন এবং কিভাবে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে, তা জানতে পারলাম।

জিওফ্রে হিন্টন একজন প্রকৃত পথপ্রদর্শক। তার গবেষণার ফলাফল আজকে আমরা প্রতিদিনের জীবনে দেখতে পাচ্ছি, যেমন automatic speech recognition, image recognition এবং আরও অনেক কিছুতে। তার কাজ আমাদের ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তার জীবনের কিছু মজার এবং ব্যক্তিগত দিকও রয়েছে। যেমন, তিনি একসময় একটি গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, যার ফলে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সোজা হয়ে বসতে পারেন না। এই কারণে, তিনি standing desk ব্যবহার করেন বা শুয়ে কাজ করেন। এটি শুনে আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম, কারণ একজন বিজ্ঞানীর জীবনে এই ধরনের শারীরিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বেশিরভাগ সময় তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং publicity থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। তার lab-কে অনেকেই "Invisible Lab" বলে থাকেন কারণ তিনি খুব কমই public events-এ অংশ নেন। তিনি একবার বলেছিলেন যে, "I always want my work to surprise me. If it doesn’t, then it’s not very exciting for me."

হিন্টনের জীবনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হলো তার Toronto এবং Google-এ সময়। তিনি University of Toronto-তে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করেছেন এবং সেখানে তার গবেষণার মাধ্যমে অনেক ছাত্রকে অনুপ্রাণিত করেছেন। Toronto-তে থাকাকালীন তিনি বেশ কিছু breakthrough গবেষণা করেছেন, যা পরবর্তীতে AI-এর ভিত্তি স্থাপন করেছে।

Google-এর সাথে তার সম্পর্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৩ সালে, Google তার কোম্পানি DNNresearch অধিগ্রহণ করে এবং তিনি Google Brain টিমে যোগ দেন। এখানে তিনি তার গবেষণা অব্যাহত রাখেন এবং Deep Learning-এর আরও উন্নয়ন ঘটান।

শুরুতে অনেকেই তার ধারণা বিশ্বাস করতে চায়নি। Neural Networks এবং Deep Learning নিয়ে তার কাজকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখত। কিন্তু তার অধ্যবসায় এবং বিশ্বাস তাকে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।

আরেকটি মজার তথ্য হলো, তার সাথে Mount Everest-এর একটি সম্পর্ক রয়েছে। তার পিতামহ Howard Hinton ছিলেন একজন বিখ্যাত অন্বেষক, যিনি প্রথমবারের মতো Everest-এর বেস ক্যাম্পে পৌঁছেছিলেন। এই অন্বেষণ এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করার মানসিকতা হয়তো জিওফ্রে হিন্টনের মধ্যেও রয়েছে।

তার পিতামহ, বিশিষ্ট গণিতবিদ George Boole, বুলিয়ান বীজগণিতের উদ্ভাবক ছিলেন, যা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি মৌলিক ভিত্তি। এই পারিবারিক ঐতিহ্য এবং প্রেরণা তার নিজের গবেষণায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলে জানা যায়।

সব মিলিয়ে, জিওফ্রে হিন্টনের সাথে পরিচিত হওয়ার এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। তার কাজ এবং চিন্তাভাবনার মাধ্যমে আমি নিজেও নতুন কিছু শেখার এবং নিজেকে উন্নত করার প্রেরণা পেয়েছি।

Comments

No comments yet.