আত্মমর্যাদা কী?
আত্মমর্যাদা আমাদের পরিচয়ের সঙ্গে জড়িত, কিন্তু কিভাবে? দেখা যাকঃ
আমাদের পরিচয়ের উৎস:
- জাতিগত পরিচয়: যেমন বাঙালি, চাঁটগাইয়া, রোহিঙ্গা, আদিবাসী, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, মুসলিম, হিন্দু ইত্যাদি।
- সামাজিক পরিচয়: যেমন সমাজসেবক বা এলাকায় ক্যাডা।
- পেশাগত পরিচয়: ইঞ্জিনিয়ার, মুচি, শিক্ষক, ইউটিউবার ইত্যাদি।
- জীবনের পর্যায়: যুবক, মধ্যবয়সী, বৃদ্ধ।
- পছন্দ-অপছন্দ: যেমন বার্সেলোনা ফ্যান, ফুডি বা বিটিএস হেটার।
- দক্ষতা বা অভ্যাস: রানার, বডিবিল্ডার, গার্ডেনার ইত্যাদি।
- মনোভাব ও মূল্যবোধ: সৎ, সময়নিষ্ঠ, ইতিবাচক, পরিশ্রমী।
এই সকল দিক যদি আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়, তবে আমরা নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধাবান ও মর্যাদাশীল অনুভব করি। তবে, অতিরিক্ত আত্মমর্যাদাবোধকে অহংকার, দম্ভ, বা নার্সিসিজমও বলা হয়। আর যদি এসব দিক নিয়ে নেতিবাচক অনুভব করি, তাহলে হীনমন্যতায় ভুগি।
আত্মমর্যাদা ও হীনমন্যতার কিছু কারণ
আত্মমর্যাদার জন্য আমাদের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাকও প্রভাব ফেলতে পারে। প্রত্যাশা ও বাস্তবতার ফারাক যত বেশি হবে, তত বেশি হীনমন্যতায় ভুগতে পারি।
এছাড়াও, আমি নিজেকে কতটা যোগ্য মনে করি বা আমার নিজের মূল্য কতটা তা বুঝতে পারাটাও এর সঙ্গে জড়িত।
আত্মমর্যাদা ও হীনমন্যতার উৎস
আমাদের জীবনের অনেক অভিজ্ঞতাই আত্মমর্যাদা বা হীনমন্যতায় প্রভাব ফেলে:
- আমি অন্যকে প্রভাবিত করতে পারি/আমি অসহায়
- অন্যরা আমাকে ভালোবাসে/অবহেলা করে
- আমি সফল/অযোগ্য
- আমি আমার নৈতিকতা বজায় রাখতে পারি/পারিনি
হীনমন্যতার বৈশিষ্ট্য
- অতিরিক্ত আত্মসচেতনতা, অন্যের চোখে নিজেকে পরখ করা।
- অল্প কথায় কষ্ট পাওয়া।
- একাকীত্ব অনুভব করা।
- নৈরাশ্যবাদ এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা।
- নিজেদের দুর্বলতায় ফোকাস করা।
অতি আত্মমর্যাদা বা গর্বের বৈশিষ্ট্য
- সফলতাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা।
- টীমের অর্জনকে নিজের বলে দাবি করা।
- অন্যের দোষ ধরায় আনন্দ পাওয়া।
স্বাস্থ্যকর আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য
- ভুল স্বীকার করতে পারা।
- ভিতরে যেমন, বাইরে তেমন আচরণ করা।
- পরিস্থিতি যাই হোক, আত্মমর্যাদা বজায় রাখা।
- নিজের কাছে সৎ থাকা।
উপসংহার
শেষমেশ, আত্মমর্যাদা কিন্তু একটা big deal, ভাই! নিজেরে সম্মান করতে পারা মানে হলো একটা মজবুত মেন্টালিটি গড়ে তোলা। আত্মমর্যাদা ঠিকঠাক থাকলে, অন্যের কথা বা বাইরের পরিস্থিতি তেমন ধাক্কা দিতে পারবে না।
অতিরিক্ত গর্ব কিংবা হীনমন্যতা দুইটাই আমাদের লাইফে ভার এনে দেয়। তাই ব্যালেন্সটা জরুরি - যেন আমরা নিজের অর্জনটা বুঝতে পারি, আবার নিজের সীমাবদ্ধতাও মেনে নিতে পারি।
So, bro, নিজেকে গ্রহণ করো, নিজের প্রতি একটু কেয়ারফুল থাকো। আত্মমর্যাদা বাড়াতে গেলে আগে নিজেকেই ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিতে হবে। Keep it real, keep it chill!
Comments
No comments yet.