অন্যের জীবনের দিকে তাকালে কেবল হতাশাই বাড়বে, তাতে নিজের উন্নতি হওয়ার চেয়ে অবনতির আশঙ্কা বেশি। এজন্য ফোকাসটা নিজের দিকেই হওয়া উচিত। আমি আগে যা ছিলাম, তা থেকে কি কি ইমপ্রুভ করতে পেরেছি সেদিকে ফোকাস করা উচিত। আরেকজনের এচিভমেন্ট দেখতে গিয়ে নিজে হতাশায় পরে গিয়ে নিজের যা করার তাই যদি করতে না পারি, তাতে তো আমার নিজেরই ক্ষতি। তখন তো এটলিস্ট আমার যে লেভেলে যাওয়ার পটেনশিয়াল ছিল সে লেভেলেও যেতে পারবো না। যারা গ্রেট কিছু এচিভ করে, মানে বড় বড় ব্যক্তিত্ব যাদের কথা আমরা জানি তারা ম্যাক্সিমামই নিজের দিকেই ফোকাসড থাকে। মানে তারা যেটা করে সেটাতে ইমপ্রুভ করার জন্য হাই লেভেলের এফোর্ট দেয়, বাকিরা কি করতেসে না করতেসে ওইটাতে অত ফোকাস করে না।
কয়েকদিন আগে ভিরাট কোহলির একটা ইন্টারভিউ শুনতেসিলাম। ওরে জিজ্ঞেস করসিলো যে, আপনি যে এত রান করেন, প্রতি ম্যাচেই ৫০+ রান করার এক্সপেকটেশন থাকে আপনার উপর, এছাড়া সবাই আপনার থেকে বেস্ট পারফরম্যান্স আশা করে, বা অন্য প্লেয়াররা আপনাকে টপকিয়ে যেতে পারে, এত প্রেশার সামলান কিভাবে। তো কোহলী উত্তর দিসে যে, এত কিছু তো এখন আর চিন্তা করিনা, ওসব যখন খেলায় নতুন ছিলাম তখন ৩-৪ বছর করতাম, ওইটাই আমার ভুল ছিল। এখন প্র্যাক্টিসের সময় যাস্ট আমার ব্যাটিং টেকনিকগুলো ইমপ্রুভের চেষ্টা করি, যেখানে সমস্যা আছে সেটা নিয়ে বারবার কাজ করি, আর সবসময় নিজেকে ফিট রাখার ট্রাই করি৷ আর মাঠে নামলে যখন ব্যাটিং করি তখন আমার ফোকাস থাকে ৫০ বা ১০০ করার দিকে না, শুধু স্কোরবোর্ডের দিকে। ৪-৫ রান করে কিভাবে বাড়িয়ে নেওয়া যায়, স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই যাস্ট লক্ষ্য রাখি, ৫০ বা ১০০ এগুলা চিন্তা করা তো বোকার কাজ৷ ওগুলা হলে হবে। আমার দায়িত্ব রান করা, সেঞ্চুরি তো আউটকাম, ওইটাতে কেন ফোকাস করতে যাব!
Comments
No comments yet.