ইমপোস্টার সিনড্রোম: আমি কি আসলেই যোগ্য?
আমরা সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় এমন পরিস্থিতিতে পড়ি, যখন মনে হয়, "আমি যা করছি, সেটা কি আদৌ ঠিক করছি?" কিংবা "সবাই আমাকে এত যোগ্য ভাবছে, কিন্তু আমি তো আসলে নই!" – এই অনুভূতিটাই ইমপোস্টার সিনড্রোম।
ইমপোস্টার সিনড্রোম হল এমন এক মানসিক অবস্থা, যেখানে মানুষ নিজের অর্জন বা সাফল্যকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারে না। মনে হয়, সবকিছু শুধুই কপাল বা ভাগ্যের কারণে হয়েছে। আর যেকোনো সময় অন্যরা সত্যটা জেনে ফেলবে – "এই লোকটা আসলে ভুয়া!"
কেন এটা হয়?
এর কারণ হতে পারে:
- পারফেকশনিস্ট হওয়ার চেষ্টা: সবকিছু ঠিকঠাক করতে গিয়ে নিজের ওপর অযথা চাপ দাও।
- সবাইকে দেখিয়ে দেওয়ার চাপ: বন্ধুবান্ধব, সোসাইটির বা সোশ্যাল মিডিয়ার স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে গিয়ে নিজেকে ছোটো মনে হয়।
- নিজের ওপর আস্থা না থাকা: “আমি পারব না,” এই চিন্তাটা সব সময় মাথায় ঘোরে।
কারা বেশি ভুগে?
স্কুল-কলেজে পড়া ছেলে-মেয়ে, যারা প্রথম চাকরিতে ঢুকেছে বা কিছু নতুন করতে চায়—এরা বেশিরভাগই ইমপোস্টার সিনড্রোমের শিকার হয়। এটা মনে করার দরকার নেই যে তুমি একাই এমন।
কীভাবে সামলাবে?
- নিজের প্রোগ্রেস দেখো: তুমি হয়তো এখনো গেম ফিনিশ করো নি, কিন্তু কতদূর এগিয়েছ সেটা দেখ।
- তুলনা কম করো: অন্য কারো ইনস্টাগ্রাম রিল আর তোমার রিয়েল লাইফ এক জিনিস না।
- নিজেকে সময় দাও: সব কিছু একদিনে হবে না। ছোট ছোট মাইলস্টোন পার করলেই হবে।
- তোমার নিজের গ্যাং তৈরি করো: এমন মানুষদের সঙ্গে থাকো, যারা তোমাকে পজিটিভলি চ্যালেঞ্জ করবে আর সাপোর্ট দেবে।
শেষে একটা কথা:
ইমপোস্টার সিনড্রোম থাকলে সেটা মানে তুমি আসলে গ্রো করছো। যে লোক কিছু নতুন করতে চায় না, তার এসব ভাবার প্রয়োজনই পড়ে না। তাই নিজের ওপর এত চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে শেখো। তোমার মতো অন্যরাও একই ফিল করছে। নিজেকে এত সিরিয়াসলি না নিয়ে একটু রিল্যাক্স করো।
যদি কখনো মনে হয়, "আমি কি আসলেই যোগ্য?" তাহলে এটা ভেবে দেখো, "আমার জায়গায় আর কেউ থাকলে, তারও হয়তো এমন মনে হতো। আমি ঠিক পথে আছি।"
"তুমি যা করছো, সেটা তোমার নিজস্ব স্টাইলে করো। ব্যস, এটাই যথেষ্ট!"
Comments
No comments yet.